দক্ষিনদিনাজপুর

বালুরঘাট কলেজে ওপেন ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের সঙ্গে কলেজ ছাত্র সংসদের সংঘর্ষ

নেতাজী সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের সাথে বালুরঘাট কলেজের ছাত্র সংসদের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হল পাঁচ পড়ুয়া। জানা যায়, শনিবার দুপুরে ওপেণ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অভিযোগ তাদের মধ্যে কয়েকজন ভাঙচুর চালায় কলেজ অফিসে। এর পরেই ছাত্র সংসদের সদস্যরা ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। প্রথমে বচসা, পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এতেই আহত হয় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। বালুরঘাট কলেজে নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির স্ট্যাডি সেন্টার রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ঠিক মতোই এই সেন্টার চলছিল। বর্তমানে এই কলেজে সব মিলিয়ে ১৫০-র বেশী পড়ুয়া রয়েছে। 

ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে বালুরঘাট কলেজের পক্ষ থেকে জারি করা হয় এক নোটিশ। সেই নোটিশকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় কলেজ চত্বরে। অভিযোগ, বালুরঘাট কলেজ কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশে উল্লেখ রয়েছে নেতাজী সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের কলেজের বার্ষিক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০০ টাকা করে জমা দিতে হবে কলেজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। টাকা জমা না দিলে কোন ফর্ম-ফিলাপ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। কলেজের এমন নোটিশকে ঘিরে বিতর্ক  ছড়ায়। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বালুরঘাট কলজে এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে অন্য ইউনিভার্সিটির বিষয়ে নাক গলিয়েছে। এমনটা করতে পারে না। অন্য ইউনিভার্সিটির টাকা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিতে পারে কি করে! তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বালুরঘাট কলেজের উপর। এদিন এর প্রতিবাদ করায় শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে বচসা। যা পরবর্তীতে হাতাহাতির রূপ নেয়।

এবিষয়ে নেতাজী সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী দীপালি প্রামাণিক জানায়, এদিন তারা প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলতে আসছিল কলেজে। কিন্তু সংসদের ছেলেরা এসে তাদের মারধর করে। 

এবিষয়ে বালুরঘাট কলেজের জি.এস বিক্রম রায় জানান, কলেজের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য নেতাজী সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের ৫০০ টাকা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশ না মেনে প্রিন্সিপ্যালের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা বলে দাবী করেন তিনি।